কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৮ জুলাই সহিংসতার ঘটনায় চাঁদপুরের তিনটি থানায় বিশেষ ক্ষমতা,জনসাধারণকে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে সাতটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৮ জন। সদর,হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করে।
বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার ১৮ জুলাই বিকেল থেকে দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত শহরের একাধিক স্থান,চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের শাহরাস্তি দোয়াভাঙ্গা,হাজীগঞ্জ উপজেলার এনায়েতপুর ও টোরাগড় এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় পুলিশ,সাংবাদিকসহ আহত হয় অর্ধ-শতাধিক ব্যক্তি। আন্দোলনকারীরা দুটি পিকআপ ভ্যান, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি কাভার্ড ভ্যান পুড়িয়ে দেয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.শেখ মুহসীন আলম বলেন,‘ সদর উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটিতে ১৪ জনকে নামীয় এবং অপরটিতে অজ্ঞাত পরিচয় বহু আসামি করা হয়।’
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ রহাজীগঞ্জের একাধিক সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১ শ ৮২ জন নামীয় ও অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২শ আসামি করা হয়।’
শাহরাস্তি থানার ওসি মো.আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ শাহরাস্তির দোয়াভাঙ্গা সহিংসতার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত পরিচয় ৬০০ আসামী করা হয়েছে । ‘
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআইও-১) মো.মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ ২১ জুলাই থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। ’
এসব মামলায় সদর মডেল থানায় ১০,হাজীগঞ্জ থানায় ১৬, শাহরাস্তিতে সাত,ফরিদগঞ্জে সাত,মতলব উত্তরে পাঁচ ও মতলব দক্ষিণ থানায় তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
করেসপন্ডেট,
২৬ জুলাই ২০২৪