Thursday , 2 January 2025
potato-1

চাঁদপুরে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টরে আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ মে.টন

চাঁদপুরে চলতি রবি মৌসুমে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টরে আলু উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার মে.টন। আলু উৎপাদনে চাঁদপুর দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মুন্সিগঞ্জের পরেই চাঁদপুর জেলা রয়েছে- উৎপাদনের তুলনামূলক হিসেবের তালিকায়। এ বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জেলা একটি নদীবিধৌত কৃষি ভিক্তিক অঞ্চল বিধায় কৃষকরা সময়মত চাষাবাদ, বীজবপন ও সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শী বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর ,চাঁদপুর গত সপ্তাহে এ তথ্য জানান।

উপজেলাওয়ারী দেখা যায়, চাঁদপুর সদরে এবার আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৭শ হেক্টর ও উৎপাদন ৪৪ হাজার ২শ মে.টন। মতলব উত্তরে ৬শ ৫০ হেক্টর ও উৎপাদন ১৬ হাজার ৯শ মে.টন। মতলব দক্ষিণে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৩শ হেক্টর ও উৎপাদন ৫৯ হাজার ৮শ মে.টন,হাজীগঞ্জে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫শ ২৫ হেক্টর ও উৎপাদন ১৩ হাজার ৬শ ৫০ মে.টন,শাহরাস্তিতে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হেক্টর ও উৎপাদন ১ হাজার ৪শ মে.টন এবং কচুয়ায় চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ২০ হেক্টর ও উৎপাদন ৫২ হাজার ৫শ ২০ মে.টন,ফরিদগঞ্জে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৯৫ হেক্টর ও উৎপাদন ২ হাজার ৪শ ৯০ মে.টন এবং হাইমচরে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১শ ৭০ হেক্টর ও উৎপাদন ৪ হাজার ২শ ৩০ মে.টন। এ সব আলু দু’ থেকে আড়াই মাস পর ক্ষেত থেকে উঠানো হবে।

এদিকে জেলা ব্যাংকগুলো যথারীতি ফসল ঋণ প্রদান করে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর খুচরা মূল্য ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বর্তমানে নতুন আলু উঠেছে বাজারে। যার কেজি খুচরা মূল্য ১২০-১৩০ টাকা। নতুন আলু মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদপুরে আসতে দেখা যাচ্ছে। চাঁদপুরে মৌসুমের শুরুতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকগণ তাদের জমি আলু চাষাবাদে বিলম্ব হচ্ছে বলে সফরমালীর কৃষককুল জানান।

জেলার ৮ উপজেলায় আলুর চাষাবাদ ও উৎপাদনে বিভিন্ন জাতের আলু চাষাবাদ করে থাকে এ অঞ্চলের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলায়ই আলুর ফলন ও চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিগত ক’বছর ধরেই চাঁদপুরে ব্যাপক আলু উৎপাদন হচ্ছে। বিশেষ করে আলু বেশী উৎপাদনকারী স্থানগুলো হচ্ছে, সফরমালী, রালদিয়া, মুন্সীরহাট,কুমারডুগি,শাহাতলী,শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন,মহামায়া,বালিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে।

হাজীগঞ্জের বলাখাল ও মতলব দক্ষিণের নারায়নপুর,কাশিমপুর,খাদেরগাও এলাকায়। কৃষকরা জানান, বর্তমান তারা লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর,হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত স্যালো সেচ ব্যবস্থায়,গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, উন্নত বীজ,পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার,নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশে থাকলে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে।

চাঁদপুরে ১২ টি হিমাগারে ৭০ হাজার মে. টন আলু সংরক্ষণ করার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বাকি আলু হিমাগারের বাহিরে রাখা হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু পরিমাণ আলূ উৎপাদন মৌসুম থেকে বিক্রি হয়ে আসছে এবং বাকি আলু কৃষকগণ কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃত্রিমভাবে মাচায় সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানান।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. মোবারক হোসেন জানান, চাঁদপুরে এবারও ব্যাপক আলুর চাষ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছরের মুল্যে কৃষককুল লাভবান হয়েছে। আশা করি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হবে ।সরকার এবার বীজ,সার ও নগদ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে দিয়েছে। এবার প্রায় ৮০ হাজার কৃষক প্রণোদনা গ্রহণ করে কৃষি উৎপাদন কাজে লাগাতে পারবে।

উল্লেখ্য, আলু প্রধান অর্থকরি সবজি। চাঁদপুর আলু উৎপাদনে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী জেলা। মুন্সীগঞ্জের পরেই চাঁদপুরের স্থান। ফলে চাঁদপুরে বেসরকারিভাবে ১২টি কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। এগুলোর ধারণক্ষমতা মাত্র ৭০ হাজার মে.টন। মতলবের করিম কোল্ডস্টোরেজের সংরক্ষণাগারটির ধারণ বাড়ালেও বাকি আলু কৃষকদের নিজ দায়িত্বে মাচায় বা কৃত্রিম উপায়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

আবদুল গনি
চাঁদপুর টাইমস
১ ডিসেম্বর ২০২৪
এজি

model=====

বি. দ্র: সংবাদ ও সংশ্লিষ্ঠ ছবি হলো-একটি পত্রিকার প্রাণ। তাই সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত যে কোনো সংবাদ কপি করে নিলে আপত্তি নেই। তবে কারও নাম ব্যবহার না করলে এবং সূত্র ‘ সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ ‘ লিখলে খুশি হবো।—সম্পাদনা বিভাগ

এছাড়াও দেখুন

mh

সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খানের ইন্তেকাল

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *