বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ প্রবাসীদের আয়। তাই উন্নয়নের চাবি কাঠি এখন প্রাবাসীদের রেমিট্যান্স। ফলে তাদের প্রতি আমাদের অভিনন্দন রইলো।
তৈরি পোশাক খাতের চেয়ে তিনগুণ বেশি নিট বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। এ প্রবাসী আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আসে সৌদি আরবের শ্রমবাজার থেকে।
সেখানে ৫৫ লাখ প্রবাসী রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ও এক তথ্যে জানা গেছে-দেশটি থেকে বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের দেশে ফেরত আসার খবর আসছে।
বর্তমানে বিশ্বের ১৬২টি দেশে ১ কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯শ ৪৩ জন বাংলাদেশি শ্রম-অভিবাসী কাজ করছেন। তবে বাংলাদেশের বৃহৎ শ্রমবাজার মূলত: ১১টি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
দেশগুলো হলো:সৌদি আরব,সংযুক্তআরবআমিরাত,ওমান,মালয়েশিয়া,সিঙ্গাপুর,কুয়েত, কাতার,বাহরাইন,লেবানন,জর্ডান ও লিবিয়া।এর বাইরে অন্য দেশগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিকের হার তুলনামূলক কম। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবেই ১৫-২০ লাখ শ্রমিক কর্মরত। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান মতে -চাঁদপুরে বৈধ প্রবাসীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ।
অভিবাসী শ্রমিক,তা তারা বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন,তারা যেমন নিজ দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী,তেমনি স্বাগতিক দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রয়েছে তাদের বিশাল অবদান। অভিবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা গোটা বিশ্বে বিশেষভাবে স্বীকৃত।
সৌদি আরবের সঙ্গে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে সুবিদিত। সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অধিকতর বোঝাপড়ার বিষয়টিও আলোচিত। প্রবাসীকল্যাণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।
যোগ্য ও বাংলাদেশি কর্মীদের বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করে পাঠাতে হবে। আকামা বা কর্মের অনুমোদনপত্র হস্তান্তরে সতর্কতা বাড়াতে হবে। সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য পরামর্শ ও সহযোগিতার ব্যবস্থা বাড়াতে হবে।
প্রবাসে যাওয়ার আগে প্রত্যেক শ্রমিককে নীতিনৈতিকতা ও সংশ্লিষ্ট দেশের আইনকানুন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত।
একই সঙ্গে সেখানে দূতাবাস কর্মকর্তারা নিয়মিত কাউন্সেলিং করবেন। শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন কেউ বিপদে পড়লে সহায়তা করবেন এটাই প্রত্যাশিত। আমরা আশা করি-দেশে পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সু-দৃষ্টি দেবেন ।
সম্পাদকীয়
১৮ এপ্রিল ২০২৪
এজি