Tuesday , 7 January 2025
tk

২৬ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৭৭ কোটি ডলার

২০২৪ সালের প্রথম মাস জানুয়ারির প্রথম ২৬ দিনে প্রায় ১৭৭ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। মাসের বাকি পাঁচ দিনে (২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়ে ২১১ কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকবে।

গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা প্রায় ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ওই অঙ্ক ছিল ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আগের দুই মাস অক্টোবর ও নভেম্বরেও বেশ ভালো রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। অক্টোবরে এসেছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি (১.৯৩ বিলিয়ন) ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল রোববার রেমিট্যান্স প্রবাহের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি জানুয়ারি মাসের ২৬ দিনে প্রবাসীরা ১৭৬ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১০ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী ২০২৩ সালে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১৯০ কোটি (২১.৯০ বিলিয়ন) ডলার। ২০২২ সালে এসেছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। এর মানে ২০২৩ সালে দেশে প্রবাসী আয় প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার ও ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল দেশে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮০ কোটি মার্কিন ডলার।

ব্যাংকগুলোর আড়াই শতাংশ বাড়তি প্রণোদনায় প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। এ ছাড়া অনেক ব্যাংক বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করায় প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

সেই হিসাবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসী আয়ে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা কাঙ্ক্ষিত নয়। কারণ প্রতিবছর যে পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়ে থাকে, সে অনুযায়ী প্রবাসী আয়ে তেমন প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না।

জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ৪৩ ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫৭ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫২ লাখ ৬০ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।

দু’ বছর ধরে চলা সংকটের কারণে দেশে মার্কিন ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকায় উঠেছে। তবে ব্যাংকগুলো আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি নিচ্ছে। কারণ ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কিনছে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে। এর পরও বিদায়ী বছরে প্রবাসী আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি হয়নি। যদিও গত বছর রেকর্ড পরিমাণ- ১৩ লাখ ৭ হাজার ৮০৫ জন জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর আড়াই শতাংশ বাড়তি প্রণোদনায় প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। এ ছাড়া অনেক ব্যাংক বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দামে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করায় প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

গত সেপ্টেম্বরে ১৩৩ দশমিক ৪৪ কোটি (১.৩৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। একক মাসের হিসাবে যা ছিল সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

৩০ জানুয়ারি ২০২৪
এজি

এছাড়াও দেখুন

dollar

এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ২৪ কোটি ডলার

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ২৪ কোটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *