চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দু’গ্রুপের সহিংসতার ঘটনায় নিহত কিশোর মো.সাইমুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বাদ আছর ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের দিগধাইর সদার বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে কবর দেয়া হয়।
শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রামের পারভেজের স্ত্রী তুহিন বেগম। যার মামলা নং ১৩,যেখানে ৩-৪ শতাধিক সব আসামী দেখানো হয়েছে অজ্ঞাত। সেই আলোকে শনিবার দিনে মকিমাবাদ সর্দার বাড়ি ও রাতে টোরাগড় এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে।
আটকৃতরা হলেন- টোরাগড় এলাকার সানজিত খান (২৩),বদরপুর গ্রামের ফরহাদ ইসলাম,গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের মো. রিফাত হোসেন (১৯) ও সেন্দ্রা গ্রামের মো.ইমরান হোসেন (২৪) নামে চার যুবক আটক হয়েছে। আটকৃতদের রবিবার চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার মকিবাদা সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কিশোর সাইমুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর ধানমন্ডি সুপার ম্যাক্স নামক হাসপাতালে শনিবার রাত ৮টার দিকে মৃত্যুবরণ করেছেন।
কিশোর সাইমুন হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। তাদের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের দিগধাইর গ্রামে। তার বাবা ইউনুস মিয়া পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। তারা হাজীগঞ্জ মিঠানিয়া ব্রিজ সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি সন্দেহভাজনদের ধরতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এজি