আজ ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি রোজ বুধবার । মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায় অনেক চড়াই-উতরাই, আনন্দ-বেদনা, সাফল্য-ব্যর্থতা, আশা-নিরাশা, প্রাপ্তি-প্রবঞ্চনার হিসাব-নিকাশ পেছনে ফেলে আজ নতুন খ্রিষ্টীয় বছরের প্রথম দিবসে এসে পৌঁছতে পেরে মহান আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া জানাই । স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাই সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জের অগণিত পাঠককুলকে।
বাংলাদেশে সুদীর্ঘকাল থেকে তিনটি দিনগণনা সন বা বর্ষের প্রচলন রয়েছে। আর তা হলো: খ্রিষ্টীয় সন,বাংলা বা বঙ্গাব্দ সন ও হিজরি সন। আবার এসব বর্ষ প্রচলনের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, মানুষ প্রথমদিকে চাঁদের হিসাবেই নতুন বর্ষ গণনা শুরু করেন। চাঁদের হিসাবে ১০ মাসে বছর হতো। সেখানে ঋতুর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না। সূর্যের হিসাবে বা সৌর গণনার হিসাব আসে অনেক পরে। সৌর এবং চন্দ্র গণনায় আবার পার্থক্য রয়েছে। সৌর গণনায় ঋতুর সঙ্গে সম্পর্ক থাকে কিন্তু চন্দ্র গণনায় ঋতুর সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে ইংরেজি সাল বা খ্রিষ্টাব্দ অনুসরণ করি প্রকৃত অর্থে তা হলো গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। আর এ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মূলত: সৌর বছর। ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে রোমের পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি প্রাচীন জুলিয়ান ক্যালেন্ডারটির সংস্কার সাধন করেন। এ গ্রেগরির নামে এ ক্যালেন্ডার গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত হয়।
বর্তমানে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই কার্যত: দিনপঞ্জি হিসেবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ অব্দে নির্ধারণ করা হয়েছিল নববর্ষ হিসেবে পালন করা হবে ২৬ মার্চ তারিখটি। কিন্তু সেটা সঠিকভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছিল না। পরে সম্রাট নুমা পল্টিলাস যখন জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারিকে ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করেন, তবে নির্ধারণ করে দেন জানুয়ারির ১ তারিখ হলো বছরের প্রথম দিন। ওই দিনই হবে বর্ষবরণ। কিন্তু সে কথাও মানা হলো না। রোমানরা সেই আগের মতো মার্চের ১ তারিখেই বর্ষবরণ উৎসব করতে লাগলেন। পরে জুলিয়াস সিজার যখন ৩৬৫ দিনে বছরের ঘোষণা দেন। তখন আবার বলে দেন মার্চে নয়। বছর শুরু হবে জানুয়ারির ১।
তাই চাঁদপুর জেলার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত হাজীগঞ্জের ইতিহাস-ঐতিহ্য ,শিক্ষা ,ব্যবসা,শিল্প,সংস্কৃতি ও কৃষ্টি ,রাজনীতি ,অর্থনীতি, প্রশাসনিক , স্বাস্থ্য ,কৃষি , মৎস্য, উন্নয়ন, সমস্যা,সম্ভাবনা, ধর্মীয় উৎসবসহ নানা সংবাদ দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে এ পত্রিকাটি নিররসভাবে পরিবেশন করে আসছে। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল পত্রিকাটির ৩০ বছর পর্দাপণে আসতে যাচ্ছে। হাজীগঞ্জের অনেক সুনামধন্য সংবাদ কর্মী এ পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে হাজীগঞ্জের উন্নয়নে অংশীজন হয়েছেন। আগামিতেও ঐসব সুহ্্রদকে আমাদের পাশে থাকার প্রত্যাশা করছি।
অবশেষে আজকের এ দিনে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ রইলো। যাঁরা পরাপারে চলে গেছেন – তাঁদের রুহুর মাগফেরাত কামনা এবং যাঁরা বেঁচে আছেন- তাঁদের স-ুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি।
প্রিন্স শাকিল আহমেদ
মোতওয়াল্লী ও সমাজ বিজ্ঞানী
বিএসএস (অনার্স),এমএসএস-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
এলএলবি-ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন,
সভাপতি, দুর্নীতি দমন কমিশন, হাজীগঞ্জ ও
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি, সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
জানুয়ারি ১, ২০২৫
এজি