আজ রোববার ২৪ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা আনুমানিক ৩ লাখ ৭৯ হাজার। গত বছর ৩ লাখ ১ হাজার ৫ শ ৬৪ রোগী শনাক্ত করেছে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। সেই হিসাবে মোট অনুমিত যক্ষ্মা রোগীর ২১ শতাংশ শনাক্তের বাইরে।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর শনাক্ত রোগীর মধ্যে পুরুষ ৫৬ শতাংশ ও নারী ৪২ শতাংশ। দৈনিক যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮২৬ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন। অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে প্রতিদিন যক্ষ্মায় অনেক বেশি মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়েছে।
গ্লোবাল যক্ষ্মা প্রতিবেদন-২০২৩ অনুযায়ী,এ রোগে আক্রান্তের তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম। দেশে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে যক্ষ্মায় মারা গেছে ৪২ হাজার।
প্রসঙ্গত,১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে বিজ্ঞানী রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জন্য দায়ী মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস আবিষ্কার করেন। তাকে স্মরণ করেই এ দিনটি যক্ষ্মা দিবস হিসেবে পালিত হয়।