Sunday , 5 January 2025
FB_

কেউ যেনো হয়রানি বা প্রতিহিংসার শিকার না হয়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে: ইঞ্জি.মমিনুল হক

কেউ যেনো হয়রানি বা প্রতিহিংসার শিকার না হয়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জি.মমিনুল হক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে হাজীগঞ্জ মধ্য বাজারে বিএনপি আয়োজিত বিজয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জি. মমিনুল হক আরো বলেন,সব দলেই কিছু খারাপ লোক থাকে। আওয়ামী লীগে ছিলো,আমাদের দলেও আছে। আমি সোমবার ঢাকায় ছিলাম। কিছু কথা আমার কানে এসেছে। কতটুকু সত্য-মিথ্যা জানিনা। তবে আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই,আমাদের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোনো সম্পদ,আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী কিংবা দলীয় প্রতিপক্ষ, মিডিয়াকর্মী, সংখ্যালগু পরিবার এবং বাজারের কোনো ব্যবসায়ীসহ কোনো মানুষ যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম.এ রহিমের উপস্থাপনায় সমাবেশে ইঞ্জি. মমিনুল হক বক্তব্যের শুরুতেই সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিহত ও দলীয় প্রয়াত নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং আন্দোলনকারীদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন,দেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের পদত্যাগ চেয়েছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত হয়েছে। যা এ দেশের মানুষের প্রাথমিক বিজয়। পরবর্তীতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ইঞ্জি.মমিনুল হক বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে ১৭ বছর আমরা মাঠে ছিলাম। এর মধ্যে আমাদের অনেক নেতাকর্মী মামলা নিয়ে কবরে গেছেন। তবে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী মামলা নিয়ে কবরে যাক, আমরা তা দেখতে চাইনা। আমরা চাই, সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন,যতদিন আমি রাজনীতিতে আছি, ততদিন আমার নেতাকর্মীদের মাধ্যমে কারো কোনো ধরনের ক্ষতি হোক, তা আমি দেখতে চাইনা, শুনতে চাই না। যদি আমার নেতৃত্বে মানেন, তাহলে বিষয়টি আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে। যদি নিশ্চিত করেন, তাহলে এ ধরনের কাজে যে জড়িত থাকবে,সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আমি তা করবো।

বক্তব্য শেষে উপজেলা ও হাজীগঞ্জ থানাসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, সংখ্যালগু পরিবার এবং বাজারের (ব্যবসায়ী) নিরাপত্তা নিশ্চিত ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো অর্থ্যাৎ সরকার গঠন ও পরিস্থিত স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে পাহারা দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন ইঞ্জি. মমিনুল হক। পাশাপাশি গতকাল (সোমবার) রাতে থানা ও হাজীগঞ্জ বাজার পাহারা দেওয়ার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

একই সময়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, যদি কেউ বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হন, তাহলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে জানাবেন। প্রয়োজন মনে করলে, নিঃসংকোচে তাদের নাম-ঠিকানা আমাকে দিবেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

সমাবেশে বিএনপি নেতা নুরুন্নবী সম্রাট, হেলাল উদ্দিন মজুমদার, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আকতার হোসেন দুলাল, সদস্য সচিব কাজী জসিম উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর যুবদলের আহবায়ক মিজানুর রহমান সেলিম, সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বিল্লাল হোসেন বেলাল, সদস্য=সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মিঠু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মজিবুর রহমান ও সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সর্দার উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এস.এম ফয়সাল হোসাইন, সদস্য সচিব জুয়েল রানা তালুকদার, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আবু ইউছুফ ও সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগরসহ উপজেলা ও পৌর এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ সহস্রাধীক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন

শাখাওয়াত হোসেন শামীম
৯ আগস্ট ২০২৪

এছাড়াও দেখুন

মামাল (1)

হাজীগঞ্জ পুলিশের অভিযানে চোরাই মালামাল উদ্ধার

রোববার ২৯ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তদন্তে প্রাপ্ত ঘটনার সহিত জড়িত ১ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *