অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে আর কালোটাকা জেনারেট করতে দেয়া হবে না। একই সঙ্গে দেশ থেকে বিদেশেও টাকা পাচার করতেও দেওয়া হবে না। পাশাপাশি পাচার করা অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে না।
২৫ আগস্ট রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছেন, উন্নয়নে আমাদের অগ্রাধিকার কী? জবাবে বলেছি, আর্থিক খাতের সংস্কার আমাদের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার। এ ছাড়া প্রবৃদ্ধিতে সমতাভিত্তিক টেকসই উন্নয়নও আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা নারীর বৈষম্যহীন উন্নয়নও চাই।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বেছে বেছে ঋণ নেওয়া হবে। দিন দিন তো ঋণের বোঝা বাড়ছে। অর্থ চাওয়ার মানে এই নয় যে, আমরা অপচয়ের জন্য চেয়েছি। সব সাধারণ মানুষের টেকসই উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলেও জানান তিনি।
বৈদেশিক ঋণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ আমাদের অনুদান দেবে, এগুলো নেওয়া হবে। আমরা এখন থেকে বেছে বেছে ঋণ নেব। এক বছরের প্রকল্প পাঁচ বছরে হবে কিংবা সেতু আছে রাস্তা নেই—এমন প্রকল্প আর হবে না।
বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বৈষম্য উপেক্ষা করতে পারি না। এত দিন তারা চেপে ছিল, আগের সরকারের ধারে-কাছেও তারা যেতে পারেনি। আমরা এ বৈষম্য কমানোর চেষ্টা করব। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতিসংঘের সহযোগী ৪১টি সংস্থা দেখা করেছে। আমাদের অর্থনৈতিক, সমতাভিত্তিক উন্নয়নে তারা পাশে থাকবে। তাদের সাজেশন শুনেছি। সমতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন করব।
রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার দিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমাদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে উন্নয়ন সহযোগীরা অর্থ দেবে। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইউএনএইচসিআরকে বলেছি, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের জন্য অন্যরা খাবারদাবার দিচ্ছে। ইউএনএইচসিআর যেন তাদের সে দেশে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে।
সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ রিপোর্ট
২৭ আগস্ট ২০২৪
এজি