হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের মোতওয়াল্লী প্রিন্স শাকিল আহমেদ বলেন,’ রমজানের প্রথম জুমা থেকে শুরু করে প্রতি জুমাতে মুসল্লীদের উপচে পড়া ভীড় প্রত্যক্ষ করা গেছে । বিশেষ করে জুময়াতুল বি’দায় প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লি এ মসজিদে এক সাথে জুময়ার নামাজ আদায় করে। তারাবির নামাজের জন্য মসজিদের পেশ ইমামের পাশা-পাশি আরো দু’জন সদ্য নিয়োগকৃত স্বনামধন্য হাফেজ দিয়ে খতম তারাবি পড়ানো হয়। প্রতিদিন দু’শ থেকে ৩শ মানুষ ইফতার করেন। কখনোও কখনোও সংখ্যা আরও বাড়ে। রমজানে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মুসল্লি আসেন। তাই তাদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
ইবাদতের মারকাজখ্যাত হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ৭ মার্চ শুক্রবার পবিত্র রমজানের প্রথম জুমার নামাজে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল প্রত্যক্ষ করা গেছে।
জেলার-উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসা মুসল্লীদের ভীড়ে শুক্রবার জুমার নামাজের আগেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় এ মসজিদ ও সামনের স্থান। জুময়ার দিন বেলা ১১টার মধ্যেই মসজিদের ভেতরে মসুল্লিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। রোজাদরগণ আল্লাহর সান্নিধ্যের আশায় কেউ নফল নামাজ, কেউ বা তসবিহ-তাহলিল , কেউ বা কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকে। জুময়ার আযানের পূর্বে মসিজদের ভেতর ও দ্বিতীয় তলা পরিপূর্ণ হয়ে চাঁদপুর-কুমিল্ল আঞ্চলিক মহাসড়কে নামাজ আদায় করতে হয়েছে মুসল্লিদের।
জুমার নামাজের ইমামতি করেন মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আবদুর রউফ। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনেকেই হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে আসার চেষ্টা করেন। রমজানের প্রথম জুমায় আসতে পারা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এখানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি অনুভব করা যায় – যা অন্য কোথাও নেই। মসজিদের ইতিহাস, স্থাপত্যশৈলী আর পরিবেশ মন ছুঁয়ে যায়।
চাঁদপুর থেকে আসা এক জন মুসল্লী জানান, প্রতি রমজান মাসেই এ মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার চেষ্টা করি। সকাল ১১ টার মধ্যেই আমরা কয়েকজন বন্ধু চাঁদপুর থেকে একসাথে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে হাজীগঞ্জে চলে আসি। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে বিশাল জামায়াতে নামাজ পড়ে আত্ম-তৃপ্তি পাওয়া যায়। এতো বিশাল জামায়াত অত্র অঞ্চলের আর কোথাও অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা নাই ।
৭ মার্চ ২০২৫
এজি