Sunday , 5 January 2025
Mosq
ফাইল ছবি

আসমানি কিতাবসমূহে বিশ্বাসের বিধান

যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা মানুষের হিদায়াতের জন্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন এবং তাঁদের কাছে বিভিন্ন কিতাব ও সহিফা পাঠিয়ে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। কোরআন নাজিলের পর এসব আসমানি কিতাবের বিধান রহিত হয়ে গেলেও এগুলো যে আল্লাহ তাআলা নাজিল করেছেন, সে বিষয়ে ইমান আনা মুসলমান হওয়ার অন্যতম শর্ত। পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে সরাসরি নির্দেশ এসেছে।

ইসলামি বিশ্বাসমতে, প্রধান আসমানি কিতাব চারটি—তাওরাত, জাবুর, ইঞ্জিল ও কোরআন। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন নবীকে ১০০ সহিফা দান করেছেন। সব আসমানি কিতাব ও সহিফার ওপর ইমান রাখা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘ (মুত্তাকি তারাই) যারা আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে, তার প্রতি ইমান রাখে।’ (সুরা বাকারা: ৪)

ইসলামের বিশ্বাসমতে, পবিত্র কোরআনের বার্তার সঙ্গে আগের আসমানি কিতাবের কোনো ব্যাপারে অমিল হলে সেসব বিষয়ে কোরআনের নির্দেশনা মানতে হবে। আগের বিধান এই বিষয়ে রহিত সাব্যস্ত হবে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাজিল করেছি যথাযথভাবে, এর আগের কিতাবের সত্যায়নকারী ও এর ওপর তদারককারী হিসেবে। সুতরাং আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, তুমি তার মাধ্যমে ফয়সালা করো এবং তোমার কাছে যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ কোরো না।

তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি শরিয়ত ও স্পষ্ট পন্থা এবং আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে তোমাদের এক উম্মত বানাতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের যা দিয়েছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান।…’ (সুরা মায়েদা: ৪৮)। লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
এজি

এছাড়াও দেখুন

haj

হজের প্রাথমিক নিবন্ধন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে

হজের প্রাথমিক নিবন্ধন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। বুধবার ২৩ অক্টোবর ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ অধিশাখার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *