৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪। আর মাত্র ৪ দিন বাকি। চাঁদপুর জেলার সব কটা উপজেলার হাট বাজার অলি-গলি,রাস্তা-ঘাট প্রভৃতি পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে আছে। প্রত্যেক প্রার্থীদের মধ্যে এখনো সকল প্রকার নির্বাচন আচরনবিধি গুরুতরভাবে ভঙ্গ করেছে -এমনটি জানা যায়নি। জেলার ৫টি আসনের হেভিয়েট প্রার্থীদের মধ্যে কোনো প্রকার জোর, জুলুম করে ভোটের বিজয় ছিনিয়ে নেবে এমনটি আমরা দেখতে পারছিনা। প্রার্থী রয়েছে- ৩০ জন।
চাঁদপুরে জেলার ৫ নির্বাচ আসনে ৮টি উপজেলা, ৭টি পৌরসভা ও ৮৯ টি ইউনিয়নে ৬’শ ৭৮ কেন্দ্রে ভোটার ৭ জানুয়ারি ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত হালনাগাদ ভোটার পরিসংখ্যান অনুযায়ী চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কমিশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রাপ্ততথ্য মতে,জাতীয় নির্বাচনে ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলা প্রশাসকগণ রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও জেলার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি কেন্দ্রে ১ জন প্রিজাইডিং অফিসার,প্রতি কক্ষে ১জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ২জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
চাঁদপুরের ৫টি আসনে ৬শ ৭৮টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪শ’৮১টি কক্ষ বা বুথ রয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ও আনসার ভিডিপি সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বপালন করবেন। এছাড়াও মোবাইল টিমে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করবেন।
চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কমিশনার মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ৭ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে ব্যালট পেপার এসেছে। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
আওয়ামী লীগ থেকে চাঁদপুরের ৫ জন নৌকা মার্কা নিয়ে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট,সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট-মুক্তিজোট, জাসদ থেকে ৩ জন এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে । তাই হয়তো তুলনামূলকভাবে অন্যান্য নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে।এ দিকে প্রার্থীদের নজর রাখতে হবে।
অতীতে দেখা গেছে, দেশে অনেক নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় আবার নির্বাচন করতে হয়েছে। এ জন্য নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার জন্য প্রার্থীদের অনেক কাজ করতে হবে। ভোট কেন্দ্রে মানুষকে নিয়ে আসার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
এ জন্য প্রশাসনকে‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’নীতি অনুসরণ করতে হবে। তবে হয়তো ইদানীং মানুষের ভোট কেন্দ্রবিমুখ যে মানসিকতা তৈরি হয়েছে । নির্বাচনকে অংশীদারিত্বমুলক,অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রশাসন,ইসি ও সংশ্লিষ্ঠ প্রার্থীদের ভূমিকা রয়েছে ।
৪ জানুয়ারি ২০২৪