গ্রামীণ ব্যাংক চাঁদপুর জোনের অন্তর্গত তরপুরচন্ডী শাখার সদস্য সুমি বেগমের ২য়পুত্র শ্রাবণ ইসলামের পাশে গ্রামীণ ব্যাংক দাঁড়িয়েছে। ২৫ মার্চ ২০২৪ সাড়ে ১১ টায় গ্রামীণ ব্যাংক তরপুরচন্ডী শাখায় চাঁদপুর যোনের যোনাল ম্যানেজার এস এম সোয়েব শ্রাবণ ইসলামকে ১ লাখ টাকার শিক্ষা ঋণপত্র ও প্রথম কিস্তির ১০,২৫০ টাকা প্রদান করেন।
তার বাবার নাম স্বপন গাজী। তিনি একজন রিকসা চালক । মায়ের নাম সুমি আক্তার । তিনি একজন গৃহিণী । তারা ৩ ভাই। বড়ভাই সদ্য বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্নকারী এবং ছোট ভাই ডিএন হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। শ্রাবণ ইসলাম ২০২০ সালে হাসান আলী গভ.হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং চাঁদপুর ড্যাফোডিল ইন্টা:কলেজ থেকে এইচ.এস.সি জিপিএ-৫ অর্জন করে।
শ্রাবণ এ বছর সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে চুয়েটে ভর্তির সুযোগ লাভ করেছে। তাই গ্রামীণ ব্যাংক তাঁর উচ্চ শিক্ষার জন্য তাকে ১ লাখ টাকা ৪ বৎসর মেয়াদে প্রদান করবে।
এ সময় গ্রামীণ ব্যাংকের যোনাল ম্যানেজার এস.এম সোয়েব বলেন, ‘পৃথিবীতে ও আমাদের দেশে কোনো ব্যাংক বিনা সুদে ঋণ দেয় এমন উদাহরণ নেই। কেবলমাত্র গ্রামীণ ব্যাংকই উচ্চ শিক্ষার জন্যে গরীব অসহায় পরিবারের শিক্ষার্থীদের এ ঋণ প্রদান করে। যা তার ৪ বছর পরের ৫ম বর্ষের পরে ৫% হারে সার্ভিস চার্জসহ যত কিস্তিতে টাকা গ্রহণ করেছে -ঠিক তত কিস্তিতে পরিশোধ করার বিধান রয়েছে। লেখাপড়া যেন ভালভাবে করতে পারে সেজন্যেই এ ঋণ প্রদান। আমি আশা করি-গ্রামীণ ব্যাংকের পরিবারের সদস্য হিসেবে শ্রাবণ ইসলাম ভবিষ্যতে একজন ভালো উচ্চ শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’
জোনাল অডিট কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান শ্রাবণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমার মায়ের কারণে তোমাকে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। তাই মা ও বাবার অবদান ভবিষ্যতে মনে রাখতে হবে। সারা দেশে গ্রামীণ ব্যাংক এ পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৮শ ৫০ জনকে প্রায় ৪শ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে। এর মধ্যে আজ শ্রাবণ একজন হলো । ’
শ্রাবণের মা সুমি বেগম বলেন,‘ আমি ধন্য ও কৃতজ্ঞ গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে। আমার ছেলের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে অর্থ বিরাট উপকারে আসবে।’
বাবা স্বপন গাজী বলেন,‘আমার ছেলের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে চুয়েটে পড়ার জন্যে গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে আমি চিরঋণী ।’
অন্যান্যের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন-চাঁদপুর গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া ম্যানেজার নিরঞ্জন কুমার বড়ুয়া এবং তরপুরচন্ডী শাখার ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় ও সাংবাদিক আবদুল গনি।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের ৫৪টি শাখায় এ পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষাঋণ গৃহীতার সংখ্যা ৫১৭ জন। বিতরণ কৃত টাকার পরিমাণ ৪ কোটি ২৩ লাখ। চাঁদপুরে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার ঋণী সংখ্যা -১১৪ জন।
আবদুল গনি
২৫ মার্চ ২০২৪
এজি