Monday , 7 October 2024
sleeping

শিশুর ঘুমের সমস্যা কাটাতে কী করবেন

বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ঘুমের ব্যাপারটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ভালো ঘুম না হওয়া তাদের স্বাস্থ্য নষ্টের অন্যতম কারণ। অনেক শিশু দিনে বেশি ঘুমায় আর রাত প্রায় নির্ঘুম কাটায়। এসব শিশুকে নিয়ে মা-বাবার বিড়ম্বনা একটু বেশিই।

তাদের সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবারও প্রায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। মূলত নবজাতকদেরই এ সমস্যা বেশি হয়। শিশু দীর্ঘদিন মাতৃগর্ভে থাকার কারণে পৃথিবীর আলোতে এসে দিন-রাত বুঝতে পারে না। তা ছাড়া শিশুর মগজের যে অংশ দিন ও রাত বুঝতে পারে, তা পরিণত হতেও সময় লাগে।

এভাবে চলে শিশুর বেশ কয়েকটা মাস। সব শিশুই প্রয়োজনমতো ঘুমিয়ে নেয়। তাই সে যতক্ষণ ঘুমাতে চায়, ঘুমাতে দিন। শরীর খারাপ থাকলে, বিশেষ করে শিশুর পেটে ব্যথা হলে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

পেটব্যথা বা ইনফেনটাইল কলিকের শিকার শিশুরা সারারাত কান্নাকাটি করতে পারে। কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে শিশু দিন ও রাতের পার্থক্য দ্রুত বুঝতে পেরে দিনে জেগে থেকে রাতে ঘুমাতে শুরু করবে।

কী করবেন

ঘরে উজ্জ্বল আলো জ্বালিয়ে রাখুন দিনের বেলায়। পরস্পরের সঙ্গে কথা বলুন, শিশুর সঙ্গেও কথোপকথন চালান। মিউজিক ও টিভিও চালাতে পারেন। দিনের বেলা অতিথি এলে শিশুকে ঘুম থেকে তুলতে সংকোচ করবেন না। দিনের বেলায় শিশু দু থেকে চারবার এক-দেড় ঘণ্টার ঘুম দিতে পারে। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টার পর শিশু যেন না ঘুমায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এ সময় খেলা, কথা বলা ও মিউজিক চালিয়ে যেতে হবে। শিশু যেন দুধ খেতে খেতে ঘুমিয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুছে দিলে শিশু ফ্রেশ থাকবে, এতে ঘুমাবেও কম। রাত ৮-৯টার পর থেকেই শিশুর ঘুমের আয়োজন শুরু করে দিন। ঘরের সব বাতি নিভিয়ে দিন।

ঘুমের আগে শিশুকে সর্বশেষ রাত ১০টার দিকে খাওয়াতে চেষ্টা করুন। এরপর শিশু না ঘুমালেও তাকে বিছানায় নিয়ে যান। রাতে ঘুমানোর জন্য ছড়া বা গান শোনাতে পারেন। তবে টিভির ধারেকাছেও নেবেন না। কোলে নিয়ে বা দোলনায় দোল দিয়ে শিশুকে তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়ানো যায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে ছয় মাস পর্যন্ত। কারণ,শিশুর ঘুমের প্রকার ও সময় নির্দিষ্ট হতে ছয় মাস লেগে যায়। ঘুমের এসব পদ্ধতি অবলম্বনের সময় খুব কঠোর হওয়া যাবে না।

লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

এজি

এছাড়াও দেখুন

kapti ==

প্রসঙ্গ : কাপ্তাই বাঁধ

কাপ্তাই বাঁধ বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত ও চট্টগ্রাম থেকে ৬৫ কি.মি. উজানে কর্ণফুলি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *