ওয়াকিফ,প্রতিষ্ঠাতা ও মোতোয়াল্লি মরহূম আহমদ আলী পাটওয়ারী (রহ.) ওয়াকফ এ্যাস্টেট কর্তৃক পরিচালিত হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে পবিত্র রমজানের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা আদায়ে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। এক সময়ে পাক ভারত উপমহদেশের বৃহত্তম জুমাতুল বিদা নামাজের জামাত উদযাপনের প্রতিষ্ঠান হিসবে খ্যাত হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে আজ একসঙ্গে লক্ষাধিক মুসল্লি এ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন।
জুমাতুর বিদা উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকেই আশ-পাশের উপজেলা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে আসতে শুরু করেন। অভিভাবকদের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়তে এসেছেন শিশু-কিশোররাও। পাশাপাশি নামাজ পড়তে এসেছেন নারী মুসল্লিরাও।
বেলা ১১টার মধ্যেই বিশাল এ মসজিদের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে জন্য মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদের মাঠ,পাশের আহমাদিয়া আলিয়া মাদরাসা মাঠ ও ভবন,জামেয়া আহমাদিয়া কওমি মাদরাসা ভবন,হাজীগঞ্জ টাওয়ার, রজনীগন্ধা মার্কেট,হাজীগঞ্জ প্লাজা, বিজনেস পার্ক,প্রাইম ব্যাংক ভবন,সাবেক পৌরসভা ভবনের ওপর নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করেন।
তবে সেসব ছাড়িয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক,স্টেশন রোডের সম্মুখ থেকে শুরু করে হজীগঞ্জের পূর্ব বাজারের বড় ব্রিজ পর্যন্ত মুসল্লিদের নামাজের কাতার ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে অনেককেই কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-দরুদ পাঠ করতে দেখা যায়। এ ছাড়া অনেকেই নিজের পরিবার ও মৃত আত্মীয়-স্বজনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দান-খয়রাত করেন।
কয়েকজন মুসল্লি বলেন, পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অনেক ফজিলতপূর্ণ দিন। হাজীগঞ্জ বড় মসজিদে বড় জামাত হয়। একসঙ্গে অনেক মানুষ দোয়া করেন। তাই এখানে নামাজ পড়তে এসেছি। আল্লাহর রহমতে নামাজ আদায় করলাম। জুমার খুতবা ও নামাজে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মুফতি আবদুর রউফ। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং ও মুসলিম উম্মাহর অগ্রগতির জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন তিনি।
মসজিদের মোতোয়াল্লি,ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্র,ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ল’গ্রেজুয়েট এবং বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী প্রিন্স শাকিল আহমেদ বলেন,`‘বিশাল জামাতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। অন্যান্য বছরের চেয়েও এবার জুমাতুল বিদার নামাজ আদায়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমরা আমাদের সাধ্যমত মুসল্লিদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি।’
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মুসল্লিরা সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করেছেন।
বিশেষ প্রতিনিধি
এপ্রিল ৫ , ২০২৪
জি এইচ