দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এর চাঁদপুরের ৫ নির্বাচনি এলাকার জনগণনন্দিত বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব,রাষ্ট্রীয় উচ্চ আসনে দায়িত্ব পালনকারী,বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একান্তই আস্থাভাজন ব্যাক্তিবর্গদের অন্যতম,বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় ব্যাক্তিত্ব, চাঁদপুরের কৃতিসন্তান, স্ব-স্ব এলাকার উন্নয়নের রূপকার, জাতীয় সংসদ-সদস্য প্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত, পরিচিতি ও সার্বিক পরিসংখ্যান সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে তথ্যসমৃদ্ধকরণে সম্পাদনা বিভাগের সাংবাদিক আবদুল গনি’র সম্পাদনায় আপামর সাধারণ পাঠকদের জন্যে পরিবেশিত হলো।
ড.সেলিম মাহমুদ,চাঁদপুর-১,কচুয়া নির্বাচনি এলাকা ৩৬০
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, বৃহত্তর কুমিল্লা তথা চাঁদপুর জেলার কৃতি সন্তান ড. সেলিম মাহমুদ। ড. সেলিম মাহমুদ ১৯৮৬ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ছাত্রলীগের একজন সংগঠক হিসেবে সমকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির নের্তৃত্বের পর্যায়ে চলে আসেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালে তাঁকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম আইন বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচন করেন। ছাত্রলীগের একজন সংগঠক হিসেবে ১৯৯১ সাল থেকে খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে গণআন্দোলনে অংশ গ্রহন করেন। ওই সময়ে তিনি জননেত্রী ও আওয়ামী লীগের পক্ষে নানা কর্মকান্ডে যুক্ত হন।
ড. সেলিম মাহমুদ একজন আইনজ্ঞ, রাজনৈতিক সংগঠক ও বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি। নব্বইয়ের দশক থেকে ড. সেলিম মাহমুদ জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পান। তিনি কুখ্যাত ইনডেননিটি অর্ডিন্যাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রথম গবেষণাভিত্তিক প্রবন্ধ লিখেছিলেন যা ১৯৯১ সালের এপ্রিলে দৈনিক আজকের কাগজে প্রকাশিত হয়েছিলো।
১৯৯৪ সালে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পেক্ষাপটে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট প্রেরীত ‘স্যার নিনিয়ান মিশন’ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা কর্তৃক গঠিত ৪ সদস্যের দলীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি সভাপতিকে প্রয়োজনীয় আইনী ও সাংবিধানিক খসড়া উপস্থাপন করে সহায়তা করেছেন। ড. মাহমুদের একাডেমিক সাফল্যের মধ্যে রয়েছে- এসএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সন্মান এ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন এবং যুক্তরাজ্যের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্বালানী আইন ও পলিসি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। পিএইচডি গবেষণায় অসাধারণ সাফল্যের জন্য ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্পেশাল ডীন’স এওয়ার্ড প্রদান করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে এলএলবি সম্নানে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ড. মাহমুদ নেত্রী ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় সার্বক্ষণিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নজরদারি রাখতেন এবং সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতেন।
২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বৃহত্তর কুমিল্লার ৩টি জেলার সকল নির্বাচনি এলাকা পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য ড. মাহমুদকে নেত্রী তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে বিভাগের ছাত্র ছিলেন অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ড. সেলিম মাহমুদের উদ্যোগে ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। আইন বিভাগ তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটি ছিলো একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। তাঁরই ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আইন বিভাগে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি ছাত্র বৃত্তি চালু করা হয়েছিলো যা বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো।
২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের পক্ষে গণসংযোগ করেন। যুক্তরাজ্যে পিএইচডি গবেষণা কালীন সময়ে জননেত্রীর উপর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর ড. সেলিম মাহমুদ যুক্তরাজ্যে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসমর্থন সৃষ্টির জন্য কাজ করেন। এছাড়া ১-১১ সরকারের সময় নেত্রীর মুক্তির লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে জনসমর্থন তৈরিতে কাজ করেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে তিনি নেত্রী কর্তৃক মনোনীত হয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি মিডিয়া সেন্টারের একজন সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ড. সেলিম মাহমুদ ৩ দশক ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে তাঁর মেধা, আন্তরিকতা সততা, সাহস ও কমিটমেন্ট দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ের সমন্বয়কারী হিসেবে দলের পক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রমসহ বহুমাত্রিক কাজের (ইশতেহার প্রনয়ন, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়) সাথে যুক্ত ছিলেন। ড. মাহমুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃৃক মনোনীত হয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলটরি কমিশন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি সব সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইমেজ রক্ষার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানী সরবরাহ বৃদ্ধিসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারি উদ্যাগে রেগুলেটরের পক্ষো ট্যারিফ সমন্বয়সহ অন্যান্য সকল বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতার জন্য তিনি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দক্ষিন এশিয় আন্তঃরাষ্ট্রীয় টাস্ক ফোর্স সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল ইনিশিয়েটিভ-এনার্জি ইন্টিগ্রেশন এর টাস্ক ফোর্স সদস্য (২০১৩-২০১৭) হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানী ভিত্তিক আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় জ্বালানী বাণিজ্য উন্নয়নে ‘এডভোকেসী’ কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলটরি কমিশনের সদস্য হিসেবে তিনি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালাণীর যোক্তিক ট্যারিফ নির্ধারনের মাধ্যমে সরকারের উপর ভর্তুকির বোঝা কমানো এবং এ খাতে ভর্তুকি সংস্কারসহ ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ, ইউটিলিটিগুলোর ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সরকারি উদ্যোগে বিশেষ সহযোগিতা করেন। একজন আইনজ্ঞ হিসেবে ড. সেলিম মাহমুদ জ্বালানী আইন ও পলিসি, আরবিট্রেশন, সাংবিধানিক আইন, ইনভেস্টমেন্ট আইন এবং কর্পোরেট ও কমার্শিয়াল আইনে বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। ড.মাহমুদ ১৯৯৫ সালে তাঁর বাবা র্কর্তৃক তাঁকে দানকৃত ৩ একর জমিতে চাঁদপুরের কচুয়াতে পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এমপিওভুক্ত করা হয়। কচুয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার প্রসারে বিশেষ করে নারী শিক্ষার প্রসারে এ কলেজের বিশেষ অবদান রয়েছে। বর্তমানে এ কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৫শ’।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর -১ (কচুয়া) আসনে ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে ১’শ ৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৪’শ ৯৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯’শ ৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ২’শ ৯২ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬’শ ৭৪ জন। ফলে ১’শ ৮ জন প্রিজাইডিং অফিসার,সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৪’শ ৯৬ জন ও ৯’শ ৯২ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্বপালন করবেন। এ আসনে প্রতিন্দ্বীতা করছেন ৩ জন প্রার্থী। ড.সেলিম মাহমুদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৫১ হাজার ৩শ ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম চাঁদপুর-২, মতলব উত্তর-দক্ষিণ, নির্বাচনি এলাকা ৩৬১
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম চাঁদপুরের কৃতিসন্তান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এর চাঁদপুর ২ আসনের মতলব উত্তর -দক্ষিণ এলাকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী। তিনি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাছিনার একান্ত আস্তাভাজন ব্যাক্তি ।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জন্ম ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম উপাধি প্রদান করে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০২৩ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। বীর বিক্রম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের সম্ভান্ত চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম আলী আহসান মিয়া ও মাতার নাম মরহুমা আক্তারুন্নেছা। মিউজিক কলেজ থেকে আই মিউজিক পাশ করেন। জগন্নাথ কলেজ থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইসলামের ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে পরবর্তীতে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।
জনাব চৌধুরী ১৯৬৫ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে চাঁদপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন, পরবর্তীতে ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তাঁর আগে তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি যুদ্ধকালীন ২ নং সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাব দেয়া হয়েছিল।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে ২টি পৌরসভা ও ২০টি ইউনিয়নে ১’শ ৫৪ টি ভোটকেন্দ্র ও ৭’শ ১৯টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯’শ ৪৬ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬’শ ১৮ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭’শ ২৮ জন। ফলে ১’শ ৫৪জন প্রিজাইডিং অফিসার,সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৭’শ ১৯ জন ও ১ হাজার ৪’শ ৩৮ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্বপালন করেন। এ আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন। তিনি ১ লাখ ৮৫ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদের কন্যা ডা.দীপু মনি চাঁদপুর-৩, চাঁদপুর সদর-হাইমচর-নির্বাচনি এলাকা ৩৬২
ডা. দীপু মনি একজন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এর চাঁদপুর ৩ আসনের চাঁদপুর সদর -হাইমচর এলাকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী। তিনি বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পরিচিতি পান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। ২০০৮ সাল থেকে তিনি চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে চলমান দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চাঁদপুর সদর-হাইমচরের মাটি-মানুষের নেত্রী , উন্নয়নের রুপকার ও আধুনিক নারীজাগরণের পথিকৃৎ । দীপু মনি ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতা একুশে পদক বিজয়ী ভাষা আন্দোলন কর্মী ও রাজনীতিবিদ এম.এ ওয়াদুদ। মাতাব নাম রহিমা ওয়াদুদ। তিনি ছিলেন শিক্ষিকা। তাঁরা ২ ভাই-বোনের মধ্যে একমাত্র ভাই জে আর ওয়াদুদ টিপু একজন চিকিৎসক। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট তৌফিক নাওয়াজ দীপু মনি’র স্বামী। তিনি আন্তর্জাতিক একটি ল’ফার্মের প্রধান। তিনি ‘আলাপ’ এর একজন শিল্পী। তাদের দু’সন্তান রয়েছে। পুত্র তওকীর রাশাদ নাওয়াজ ও কন্যা তানি দীপাভলী নাওয়াজ। কর্মজীবনে ডা. দীপু মনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ।
দীপু মনি হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি পড়েন। এমবিবিএস ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমঝোতা ও দ্বন্দ্ব নিরসন এর ওপর একটি কোর্স সম্পন্ন করেন। দীপু মনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সাথে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সাথে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী। এ ছাড়া তিনি বর্তমানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন। তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে অসংখ্যবার বিদেশী সফর করেছেন এবং দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার একজন সদস্য।
চাঁদপুর-৩ চাঁদপুর সদর-হাইমচর আসনে ১টি পৌরসভা ও ২০টি ইউনিয়নে ১’শ ৫৭টি ভোটকেন্দ্র ও ৮’শ ৬৭ টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩০হাজার ৪’শ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ২২ হাজার ৯৬ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৩’শ ৪ জন। ফলে ১’শ ৫৭জন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৮’শ ৬৭ জন ও ১হাজার ৭’শ ৩৪ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্বপালন করেন। এ আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। তিনি এবারের নির্বাচনে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯ম ৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান চাঁদপুর-৪,ফরিদগঞ্জ নির্বাচনি এলাকা ৩৬৩
সাংবাদিক শফিকুর রহমান দেশের একজন পথিতযশা সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এর চাঁদপুর ৪ আসনের ফরিদগঞ্জ এলাকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী। তিনি চাঁদপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন আদর্শিক রাজনীতিবিদ। সাংবাদিক শফিকুর রহমানের পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা গ্রামের মিয়াজী বাড়ি। তাঁর বাবার নাম মৌলভী আবদুল হামিদ এবং মায়ের নাম আয়েশা খাতুন। তিনি তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু করেন প্রথম মাদ্রাসা থেকে। একাধারে মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষা লাভ করেন। তিনি প্রথমে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ১৯৬৫ সালে কামিল হাদিস বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৬৭ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৭১ সালে।
মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবাদিকতা: শফিকুর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্য ও জাপানে সাংবাদিকতার ওপর উচ্চতর শিক্ষা নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় তিনি ইত্তেফাক-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি পরপর দু’বার ২০১৫-২০১৮ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান সম্পাদক। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে শফিকুর সম্পর্কে বলেন, ‘সাংবাদিক শফিক আমার সহপাঠী ও বন্ধু। তাঁর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। তাঁকে আমি ডেকে নিয়ে এ চাঁদপুর-৪ আসন থেকে মনোনয়ন দিয়েছি।’
চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে ১’শ ১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৬’শ ১৪ টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯ হাজার ৭’শ ৭৬ জন। এ আসনে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮’শ ৮ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ৯’শ ৬৮ জন। ফলে ১’শ ১৮জন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৬’শ ১৪ জন ও ১২’শ ২৮জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্বপালন করবেন। ৮ জন প্রার্থী এ আসনে নির্বাচন করেছেন। তিনি ৩৬ হাজার ৪শ ৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
মেজর অব.রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম চাঁদপুর-৫,হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি,নির্বাচনি এলাকা ৩৬৪
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ১নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকা চাঁদপুর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন পর পর ৪ বার। এবারেরও তিনি সংসদ সদস্য প্রার্থী । রফিকুল ইসলাম ১৯৪৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার নাওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। তাঁর বাবার নাম আশরাফ উল্লাহ ও মায়ের নাম রহিমা বেগম। তাঁর সহধর্মিণীর নাম রুবি ইসলাম। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। ভাই ছয় বোনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ছিলেন সবার বড়। জন্মস্থান নাওড়া গ্রামেই প্রাথমিক স্কুলের পড়াশোনা শুরু। তবে পিতা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে স্কুল ইন্সপেক্টর হওয়ায়, বদলির সুবাদে পরিবারের সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে লেখাপড়া করেন।
তিনি ১৯৫৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা মডেল হাই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশেন ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে রফিকুলইসলাম ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে কাকুল মিলিটারী একাডেমি থেকে বিএসসি পাস করেন। ১৯৮১ সালে তিনি আমেরিকার হার্ভাড বিজনেস স্কুলে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম কোর্স সম্পন্ন করেন। রফিকুল ইসলাম ছাত্রাবস্থায় সাংবাদিকতার হাতে খড়ি পান। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়ে ‘ইউপিপি’ সংবাদসংস্থায় খন্ডকালিন সাংবাদিকতা করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৯ এপ্রিল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে ইংরেজি দৈনিক ‘দি পিপলস ভিউ’র সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন জার্নাল এবং জাতীয় দৈনিকে সমকালীন বিষয়ে অসংখ্য কলাম লিখেছেন। রফিকুল ইসলাম ১৯৬৩ সালে অফিসার পদে নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান কাকুল মিলিটারি একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন অর্জন করেন। একই সময়ে বিএসসি ডিগ্রি পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ন হন। ১৯৬৮ সালে লাহোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পূর্ব পাকিস্তানে বদলি হন এবং তৎকালিন যশোর ক্যান্টনমেন্ট রেজিমেন্টের অ্যাডজুট্যান্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কিছুদিন দায়িত্ব পালন শেষে দিনাজপুরে ইপিআরের ৮ নম্বর উইংয়ের অ্যাসিসটেন্ট উইং কমান্ডার পদে বদলি হন। পরে ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের চট্টগ্রাম সেক্টর হেডকোয়ার্টারে অ্যাডজুট্যান্ট পদে নিয়োগ পান।
সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৯ এপ্রিল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পান। সামরিক শাসক এরশাদ সরকারের পতন হলে ১৯৯০ সালে দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার (মন্ত্রী পদমর্যাদায়) দায়িত্ব পান। তিনি ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল থেকে ২০ মার্চ ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওই সরকারের মন্ত্রী পদমর্যদায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ -শাহরাস্তি নির্বাচনি এলাকা চাঁদপুর-৫ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজিগঞ্জ শাহরাস্তি এলাকা থেকে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মত নির্বাচিত হন এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ ও ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়’ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান : ১৯৭১ সালে রফিকুল ইসলাম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পদে চট্টগ্রামে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এ অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে প্রেষণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সেনা মোতায়েন পরিস্থিতি দেখে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তিনি স্বাধীনতার প্রয়োজনে বিদ্রোহ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং তদনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তিনি তার অধীনস্থ বাঙালি অফিসার ও সিপাহিদের সাথে আলোচনা করে কর্তব্য স্থির করেন এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি অফিসারদের সাথে গোপন বৈঠক করে প্রয়োজনে বিদ্রোহের জন্যে উদ্বুদ্ধ করেন।
১৯৭১ এর ২৪ মার্চ রাতেই ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম কার্যত:বিদ্রোহ শুরু করেন। তাঁর আদেশ পেয়ে সীমান্ত ফাঁড়িতে বাঙালি সৈন্যরা অবাঙালি সিপাহিদের নিরস্ত্র ও নিষ্ক্রিয় করে চট্টগ্রামে এসে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগদানের জন্যে প্রস্তুত হয়। পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন রফিক তাঁর বাহিনী নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ করেন এবং ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে তাঁর হেডকোয়ার্টার সীমান্তের ওপারে হরিণায় স্থাপন করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে এখান থেকেই তিনি ১নং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বে ন্যস্ত হন। ১৭ ডিসেম্বও ১৯৭১ ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়নের রূপকার ।
চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনে ২টি পৌরসভা ও ২২টি ইউনিয়নে ১’শ ৪১টি ভোটকেন্দ্র ও ৭’শ ৮৫টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮ হাজার ৪’শ ৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫ হাজার ২’শ ৫০ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ২’শ ৪৬ জন। ফলে ১’শ ৪১ জন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৭’শ ৮৫ জন ও ১ হাজার ৫’শ ৭০ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্বপালন করবেন। প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন। তিনি ৮৩ হাজার ২ শ ২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
সকল তথ্য ওয়েবসাইড থেকে সংগৃহীত ও সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ এর অনলাইন সংস্করণের সম্পাদনা বিভাগ কর্তৃক সম্পাদিত হলো ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এজি