Wednesday , 18 September 2024
gaza--

গাজা যুদ্ধের ১৭৫ দিন পর হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব

ফিলিস্তিন সরকারের তথ্য দপ্তর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের ১৭৫ দিন পর ওই যুদ্ধে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যুদ্ধে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির সারসংক্ষেপ নিম্নরূপ: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ২ হাজার ৮ শ ৮৮টি অপরাধ ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নিহত ও নিখোঁজ ৩৯ হাজার ৬শ ২৩ জন। সূত্র: পার্সটুডে

হিসাবে বলা হয়েছে, ৩২ হাজার ৬শ ২৩ জন শহীদকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে নিখোঁজ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৪ হাজার ৩৫০ জন শিশু। ২৮টি শিশু অনাহারে মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে ৯ হাজার ৪শ ৬০ জন নারী। ৩শ ৬৪ জন মেডিকেল স্টাফও নিহত হন। উদ্ধারকারী বাহিনীর নিহত হয়েছে ৪৮ জন।

ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১৩৬ জন। নাম জানা ১২ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত গাজাবাসীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৯২ জন। এ যুদ্ধে নিহতদের শতকরা ৭৩ ভাগ নারী ও শিশু। ১৭ হাজার শিশু তাদের পিতামাতার একজনকে বা উভয়কে হারিয়েছে। আহতদের মধ্যে ১১ হাজার জনকে তাদের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। ১০ হাজার ক্যান্সার রোগী মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে এবং তাদের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।

৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ফলে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে ভাইরাল হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার মানুষ। চিকিৎসা সেবার অভাবে ৬০ হাজার গর্ভবতী মহিলা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ওষুধ আমদানি না হওয়ার কারণে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গাজা উপত্যকার ২ মিলিয়ন বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

পার্সটুডের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২৭৪ জন চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ১৬৮টি সরকারি স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। ১০০টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। ৩০৫টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২২৭টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। আরও ২৯৪টি মসজিদের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ৩টি চার্চ বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ ৯০ হাজার আবাসিক স্থাপনা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ২০০টি ঐতিহাসিক ও প্রাচীন স্থাপনা বোমা মেরে ধ্বংস করা হয়েছে।

গাজার মানুষের ওপর ৭০ হাজার টন বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হয়েছে। ৩২টি হাসপাতাল পুরোপুরি পরিষেবা দেওয়ার অযোগ্য। ৫৩টি চিকিৎসা কেন্দ্র পরিষেবার বাইরে চলে গেছে। আরও ১৫৯টি চিকিৎসা কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ১২টি অ্যাম্বুলেন্স বোমা মেরে ধ্বংস করা হয়েছে। সম্পাদনা: রাশিদ

এপ্রিল ১, ২০২১৪
এজি

এছাড়াও দেখুন

hamas

যুদ্ধের পর গাজায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি সরকার চায় হামাস

হামাস যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় পরামর্শ দিয়েছে, নির্দলীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি স্বাধীন সরকার যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *