পৌষের শেষ ও মাঘের শুরু থেকে সারাদেশে হালকা কুয়াশার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ সময় ঘন কুয়াশা ছাড়াও দেখা মেলে বৃষ্টির। ক্রমশ দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা কমেছে। সূর্যের দেখা মিলেছে, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে আগামীকাল থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এরপর তা বেড়ে দেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র বলছে,আজ রাজধানীর আকাশে হালকা মেঘ দেখা গেছে। আগামি দু-তিনদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা কমে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলে রাতের তাপমাত্রা কমবে দিনের বাড়তে পারে।
সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগামি ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌলভীবাজার,কুমিল্লা, ফেনী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল এবং ভোলা জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে,উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বাতাসের আদ্রতা থাকবে ৮৩ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, আজ সোমবার রাজধানীর আকাশে হালকা মেঘ দেখা গেছে। আগামী দুই-তিনদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা কমে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলে রাতের তাপমাত্রা কমবে দিনের বাড়তে পারে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, আগামিকাল থেকে ফরিদপুর অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বৃষ্টির পর রাতের তাপমাত্রা এক-দুই ডিগ্রি বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার ফরিদপুর অঞ্চল, খুলনা, ঢাকা,ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় রাজশাহী,বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। পরদিন থেকে আবার আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে। এরপর আস্তে আস্তে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে। সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। আর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের অনেক অঞ্চলের আবহাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি রয়েছে। কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুই থেকে তিন দিন ১০–৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। অবশ্য দেশের কোনো অঞ্চলে গতকাল শৈত্যপ্রবাহ ছিল না।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪
এজি